প্রাণের ৭১

সৌদি বাদশার হলিউড সফর

বিনোদন বান্ধব দেশে পরিণত হচ্ছে সৌদি আরব। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিনোদন খাতে ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। প্রযোজনা সংস্থা, অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ, হাইটেক পার্ক নির্মাণসহ বিনোদন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে ব্যস্ত সৌদি আরব।

আপাতত চলতি মাসে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ছবি মুক্তির মাধ্যমে সৌদিতে  হলিউডি ছবির সূচনা হচ্ছে। আর এই ছবির হাত ধরেই দীর্ঘ ৩৫ বছর পর পশ্চিমা ছবি প্রবেশ করছে সৌদি আরবে।

বিনোদন খাতে বিনিয়োগের মূল উদ্যোক্তা সৌদি বাদশা মোহাম্মদ বিন সালমান। সম্প্রতি হলিউড সফর করেছেন তিনি। সেখানে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়। অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার মিডিয়া সম্রাট রুপার্ট মারডক -এর আমন্ত্রণে এক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন সৌদি বাদশা। এরপর তিনি বিশ্ব বিখ্যাত সব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সৌদি আরবে বিনোদনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলে। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সিনেমা চেইন ‘এএমসি’ সৌদি আরবে ৩০টির মতো সিনেমা হল খোলার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত সৌদি আরবের বিনোদন কর্তৃপক্ষ তাঁদের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। তাঁদের পুরো পরিকল্পনা জুড়ে ছিল সৌদি আরবের পরিবর্তন। তাঁরা জানান, ৭০ভাগ সৌদি নাগরিকের বয়স ত্রিশের কোঠায় এবং তারা বিনোদনের জন্য ক্ষুধার্ত।

হলিউড সফরে সৌদি বাদশা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের জন্য পুরো একটি হোটেল বরাদ্ধ ছিল, যখানে সব কিছুই ছিল সৌদি আমেজে।

সৌদি বাদশার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ‘দ্য রক’ খ্যাত ডোয়াইন জনসন। সৌদিতে তাঁর অনেক ভক্ত আছে জেনে তিনি আনন্দিত। এক ফেসবুক বার্তায় রক জানান, ‘আমি আমার প্রথম সৌদি আরব সফরের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি নিশ্চিত সেখানকার চমৎকার টাকিলা (এক জাতীয় মদ) আমার পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করবো।’

এদিকে হলিউড সফরের প্রায় পুরোটা সময়ে নানা ধরনের প্রতিবাদ দেখতে হয়েছে সৌদি বাদশাকে। বিশেষ করে ইয়েমেন ও নারী স্বাধীনতা বিষয়ে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবাদমুখর ছিল লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তা।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*