প্রাণের ৭১

১৭ দিন পর মৃত শাবককে ছেড়ে গেল মা তিমি।

বিজ্ঞানীদের মতে সমুদ্রে অন্তত ১,০০০ মাইল (১,৬০০ কিলোমিটার) বহন করার পর অবশেষে মৃত নবজাতককে বহন করা বন্ধ করলো তিমি।

কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের তিমি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা বলছেন, “তিমিটির বিষাদ ভ্রমণ শেষ হয়েছে এবং তার আচরণ উল্লেখযোগ্যভাবে বিচিত্র।”

এই ধরণের তিমি মাছ সাধারণত সপ্তাহখানেক ধরে মৃত সন্তান বহন করে থাকে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই তিমিটি এক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে।

মা তিমিটি গত কয়েকদিনেই সারাবিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

তিমি গবেষণা কেন্দ্র শনিবার এক বিবৃতিতে বলে, “সমুদ্রতট থেকে নেয়া টেলিফটো ডিজিটাল চিত্র থেকে ধারণা করা যায় যে মা তিমিটি শারীরিকভাবে সুস্থ অবস্থাতেই রয়েছে।”

“মৃত তিমিটির দেহ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যবর্তী স্যালিশ সাগরে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তিমির দেহের ‘নেক্রপসি’ (পশুর ময়নাতদন্ত) করার সুযোগ হয়তো পাবেন না গবেষকরা।”

ভ্যাঙ্কুভার উপকূলে মা তিমিটিকে মৃত শাবক বহন করে নিয়ে যেতে দেখা যায় ২৪শে জুলাই।

ঐদিনই শাবকটি মারা যায় বলে ধারণা করা হয়। তবে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই এই ধরণের তিমিকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এই ধরণের তিমির প্রধান খাবার চিনুক স্যামন মাছ, যার সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক কমে গেছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*