প্রাণের ৭১

চীন চাইলে করোনাভাইরাস উহানেই নির্মূল করতে পারত: ট্রাম্প

করোনাভাইরাসের দায় আবারও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চীনের ঘাড়েই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!

তবে এ বার কিছুটা সুর নামিয়ে ট্রাম্প বললেন, ‘চীন হয় মারাত্মক একটা ভুল করে ফেলেছে, না-হয় ওরা ব্যাপারটা সামলাতেই পারেনি। আমি নিশ্চিত, কোনও একজনের বোকামির ফল আজ ভুগতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে।

চীন চাইলে উহানেই করোনাকে রুখে দিতে পারত, এমন দাবি এর আগেও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার সংবাদ সস্মেলনে তিনি আবারও একই দাবি করলেন। রয়টার্সের।

এর আগে একবার কার্যত দিশাহীন ভাবে তাকে বলতে শোনা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে হারাতেই ‘করোনা-ষড়যন্ত্র’ ফেঁদেছে বেইজিং। আমেরিকার কাছে পাল্টা প্রমাণ চেয়ে চাপ বজায় রেখেছে চীন।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু) জানিয়ে দিয়েছে, চীনের কোনও ল্যাব থেকেই করোনা ছড়িয়েছে কিনা, ওয়াশিংটন এখনও তার কোনও তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি। খুব সম্ভবত এ সব কারণেই ট্রাম্পের এই ‘ভোলবদল’ বলে মনে করছেন অনেকে। কেউ মনে করিয়ে দিচ্ছেন চীন-আমেরিকা বাণিজ্য-সমীকরণের দিকটাও।

জানুয়ারিতে বেইজিংয়ের সঙ্গে প্রথম দফার বাণিজ্য চুক্তি করেছিল ওয়াশিংটন। করোনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সেই চুক্তি কার্যত বাতিলের হুশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

যদিও এখনও দু’দেশই বাণিজ্যে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি শর্তে রাজি হয়েছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রলালয়ের দাবি, আগামী দু’বছরের জন্য আমেরিকায় ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্য রফতানির চুক্তি করেছে চীন। করোনা-টানাপড়েনের আবহেও চুক্তি যথাযথ থাকবে বলে দাবি দুই দেশেরই।

পাশাপাশি, চীনের গাফিলতি এবং তথ্য গোপন করার কারণেই যে করোনা আজ মহামারী রূপ নিয়েছে, সেই চাপও বজায় রাখতে চায় আমেরিকা।

চীন যে পাল্টা মামলার চাপ বাড়াচ্ছে, তা রুখতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানান মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি।

এ দিকে, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে আমেরিকার বেশ কয়েকটি প্রদেশ লকডাউন শিথিল করেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে গোটা দেশেই বাড়ছে সংক্রমণ।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*