প্রাণের ৭১

সমৃদ্ধির পথে স্বাধীনভাবে

মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত রাতে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আলোর মিছিল। ছবি : লুৎফর রহমান

একাত্তরের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ৯ মাস এক নদী রক্ত পেরিয়ে বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্যোদয়ের পর সহায়-সম্বলহীন যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই থেকে শুরু; নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে শক্ত ভিত্তি করে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ।

ব্রিটিশদের ২০০ বছরের শাসন ও পাকিস্তানের ২৪ বছরের শোষণের পর বিপুল জনসংখ্যার সদ্য স্বাধীন দেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে গরিব দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। একাত্তরে স্বাধীনতার সময় ফসলের মাঠে দুই ফোঁটা পানির জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত বাংলার মানুষ। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মুখে সামান্য অন্ন তুলে দিতে সহায়তা পাওয়ার ঝুলি নিয়ে ঘুরতে হয়েছে ধনী দেশগুলোর পেছনে। যুদ্ধবিধ্বস্ত অবকাঠামো আর শূন্য ভাণ্ডার নিয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ এখন আর সেই অবস্থায় নেই। তিনটি শর্ত পূরণ করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রাথমিক স্বীকৃতি অর্জনকারী পৃথিবীর একমাত্র দেশ এখন বাংলাদেশ। বিপুল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে আগামী দুই দশকের মধ্যেই বিশ্বে দাতাদেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।

এই উন্নয়ন বিশ্বস্বীকৃত। ২০১৫ সালেই বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ডে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নাম উঠেছে বাংলাদেশের। অর্থনীতির আকারের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৪৩, আর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বিশ্বের ৩৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রাইসওয়াটার কুপার হাউস (পিডাব্লিউসি) বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৮তম বড় অর্থনীতির দেশ, ২০৫০ সালে আরো পাঁচ ধাপ এগিয়ে আসবে ২৩ নম্বরে।

বাংলাদেশকে ‘ইমার্জিং টাইগার’ উল্লেখ করে বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার গত এপ্রিলে বলেছে, এশিয়ায় টাইগার বলতে এত দিন সবাই হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানকে বুঝত। এর বাইরেও এশিয়ায় একটি ইমার্জিং টাইগার রয়েছে, যা বাংলাদেশ। গত জানুয়ারি মাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশিত ‘ইনক্লুসিভ ইকোনমিক ইনডেক্স’-এ ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।

এই অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “আমরা গরিব—স্বাধীনতার পর এই বদনাম সহ্য করেছি। বাংলাদেশের তখনকার আর এখনকার অবস্থা ‘আসমান-পাতাল’। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি পাওয়ায় এটা প্রমাণিত যে আমরা পারি। আমরা নিচে ছিলাম। এখন ওপরে উঠছি। আরো ওপরে উঠব।” অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় আমরা অন্য দেশের অনুদান নিতাম। উন্নত দেশে পরিণত হয়ে ২০৪১ সাল থেকে আমরা বিভিন্ন দেশকে অনুদান দেব।’

গতকাল নৌ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাঙালি বীরের জাতি, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে জানে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। জাতির পিতা শূন্য হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তিন বছর সাত মাস দেশ পরিচালনা করে তিনি দেশের উন্নয়নের ভিত স্থাপন করেছিলেন। তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির পথে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ২০ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছর বাংলাদেশে ২০ লাখ কোটি টাকার সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে। এটি বিশ্বের ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশের মোট সম্পদের ১৬ থেকে ২০ শতাংশ।

‘সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে প্রশংসা করে গেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ বলেছেন। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুও বাংলাদেশকে দারিদ্র্য দূর করে উন্নয়ন অগ্রগতি অর্জনের ক্ষেত্রে বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেছেন। একসময় বাংলাদেশকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করা পশ্চিমা অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদরাও এখন উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মুক্তিযুদ্ধকালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এ দেশকে বলেছিলেন তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু কিসিঞ্জার যে ভুল বলেছিলেন, বছর কয়েক আগে বাংলাদেশ সফরকালে তা স্বীকার করেন দেশটির আরেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ১৯৭৬ সালে ‘বাংলাদেশ : এ টেস্ট কেস ফর ডেভেলপমেন্ট’ নামে বই লিখে নরওয়ের অর্থনীতিবিদ ড. জাস্ট ফালান্ড ও ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জ্যাক আর পারকিনসনও বলেছিলেন, বাংলাদেশ কোনো দিন উন্নতি করতে পারবে না। আর বাংলাদেশ যদি উন্নতি করতে পারে, তাহলে দুনিয়ায় আর কোনো গরিব দেশ থাকবে না। ২০০৭ সালে এই দুই অর্থনীতিবিদ নিজেদের ভুল স্বীকার করে বলেন, বাংলাদেশ সীমিত, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি করছে।

তবে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে উন্নয়নের শক্তি দেখতে পেয়েছিলেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও লন্ডনভিত্তিক ওভারসিস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (ওডিআই) প্রতিষ্ঠাতা অস্টিন রবিনসন। ‘ইকোনমিক প্রসপেক্টস অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত এক গ্রন্থে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়েও দ্রুতহারে উন্নতি করবে। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যারা খুবই অভাবী, কিন্তু দ্রুত উন্নয়নের জন্য উদ্গ্রীব।’

সংশ্লিষ্টরা জানায়, পাকিস্তানের শোষণ থেকে মুক্তিকাল থেকেই সোনার বাংলা গড়ার কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তবে পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাতে হোঁচট লাগে। আশির দশকে বেসরকারি খাতের বিকাশ বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুন মোড় আনে। আর গত এক দশকে দেশের বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক বিনিয়োগ বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সূচকেই অগ্রগতি অর্জন করেনি, প্রভাবশালী শক্তির সঙ্গে দর-কষাকষির সক্ষমতা অর্জন করেছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকের খবরদারির মুখে সংস্থাটিকে বিদায় দিয়ে নিজের অর্থেই ২৮ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। দুই দশক আগে বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মিত হয়েছে যমুনা নদীতে। স্বাধীনতার পর যে দেশের বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার, সেই দেশ এখন এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকায় নির্মাণ করছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উেক্ষপণ হতে যাচ্ছে আগামী মাসেই। বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম ১৩০ তলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগও নিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল মেট্রো রেল নির্মাণ ও একসঙ্গে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার পরিচয় বহন করে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসনামলে রাষ্ট্রীয় আয়ের পুরোটা যেত পশ্চিম পাকিস্তানে। বাঙালির ব্যক্তিগত আয়ের বড় অংশও মুনাফা করে নিয়ে যেত পশ্চিম পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা। ৪৭ বছর আগের উদ্যোক্তাশূন্য বাংলাদেশে এখন লাখো উদ্যোক্তা। বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠছে বৃহৎ শিল্প-কারখানা। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ। আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে দেশের ১৬ কোটি মানুষের চাহিদার বড় অংশই পূরণ করছে বেসরকারি খাত। খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষস্থানে বাংলাদেশের নাম লেখিয়েছে কৃষকরা। আয়তনে বিশ্বের ৯৪তম হয়েও সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং ধান, মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ শীর্ষ অবস্থান বাংলাদেশের। ১৯৭২-৭৩ সালে যেখানে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯৯.৩০ লাখ টন, এখন তা পৌঁছেছে ৩৪৭ লাখ টনে। শিশু মৃত্যুহার, মাতৃ মৃত্যুহার, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তান তো বটেই, ভারতের চেয়েও অনেক এগিয়ে।

মাত্র চার হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার অথনীতি নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রতিকূলতার মধ্যেও স্বাধীনতার ছোঁয়ায় দেশের মানুষের অদম্য স্পৃহাই এ দেশকে গড়ে তুলেছে তিলে তিলে। স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা, এখন চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন করছে সরকার। দারিদ্র্যের হার ৮৮ শতাংশ থেকে ২৪.৩ শতাংশে নেমেছে। আমদানির পরিমাণ ২২৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা থেকে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮১ হাজার ৫৫২ কোটি টাকায়। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ২৬০ কোটি টাকা, এখন বেড়ে হয়েছে দুই লাখ ৮২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। মাত্র ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স ৪৭ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৭৭ কোটি ডলারে। দুই কোটি ডলারের রিজার্ভ এখন তিন হাজার ৩৩৭ কোটি ডলার। স্বাধীনতার পর প্রথম অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ২.৭৫ শতাংশ, এখন ৭.২৮ শতাংশ।

তবে এই উন্নয়নযাত্রাকে টেকসই করতে মানবসম্পদের উন্নয়ন ও সম্পদ বণ্টনে বৈষম্য কমানোসহ বেশ কিছু বিষয়ে জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলছেন, বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীই বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রাণশক্তি। এদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। স্বাধীনতার পর পর ধনী-দরিদ্রের সম্পদের বৈষম্য ছিল ২.৪ শতাংশ, এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে। এ বৈষম্য কমাতে হবে। সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। অর্থপাচার ও দুর্নীতি বন্ধ করে দেশেই বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার এক বছর আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বাংলাদেশে দ্রুতহারে দারিদ্র্য হার কমার মধ্য দিয়ে এটি স্পষ্ট যে বৈষম্য কমাতে সরকারের নেওয়া নীতি কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালে উন্নত দেশের মর্যাদায় আসীন হবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা অর্জনই করেছিলাম উন্নতি করার জন্য। বিশ্বদরবারে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য যে বাংলাদেশ বহু দিন নির্যাতিত ছিল; কিন্তু এরা মেধাবী এবং কর্মক্ষম জাতি। সেটা যে আমরা কাজে প্রমাণিত করতে পেরেছি, এটাই এখন সবচেয়ে বড় আনন্দের।’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা না গেলে সাধারণ মানুষ উন্নয়নশীল দেশের সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। অনেক দেশেই এ বৈষম্য রয়েছে। তবে বাংলাদেশের যেহেতু সম্পদ কম এবং এখনো প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি এবং সুশাসনের অভাব রয়েছে, তাই এ দিকটিতেও গুরুত্ব দিতে হবে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*