প্রাণের ৭১

BSF জওয়ানের মাথা কেটে নিয়ে গেছে পাকিস্তানি আর্মি।

জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর(বিএসএফ) এক জওয়ানকে গুলি করে তার মাথা কেটে নিয়ে গেছে পাকিস্তানের বাহিনী।

পাকিস্তানে ইমরান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সীমান্তে পাকবাহিনীর মনোভাব যে আদৌ বদলায়নি এবার তা প্রমাণ হল বলে আনন্দবাজারপত্রিকার খবরে বলা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রণরেখায় আগে ভারতীয় সেনাসদস্যের ওপরে এ ধরনের হামলা হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সীমান্তে এমন ঘটনার নজির নেই। ফলে সীমান্তে পাক হামলা আরও তীব্র হল বলেই মনে করছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বুধবার জম্মুর রামগড় সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে সরকন্দা ঘাস কাটতে যায় বিএসএফের একটি দল। বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় ভারতের দিকে জলাভূমি রয়েছে। তাই গোটা এলাকা বড় বড় সরকন্দা ঘাসে ঢাকা। যাতায়াতের সুবিধার জন্য ওই এলাকায় মাঝে মাঝে ঘাস কাটার প্রয়োজন হয়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই বিএসএফের দলটির ওপরে হামলা চালায় পাক রেঞ্জার্স। বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতীয় জওয়ানরাও জবাব দেন। কিন্তু পাক স্নাইপারের গুলিতে নিহত হন হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র কুমার।

বিএসএফ সূত্রের খবর, ঘটনার পরই নরেন্দ্রর দেহ উদ্ধারের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই এলাকা জলাভূমি। ফলে সীমান্তের কাছে গিয়ে জওয়ানের দেহ উদ্ধারের ক্ষেত্রে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বাহিনী একসঙ্গে কাজ করলে সুবিধা হবে বলে বুঝতে পেরেছিলেন বিএসএফ-কর্তারা।

কিন্তু পাকবাহিনী সীমান্তের ওপার থেকে কিছুটা এগিয়ে আসার পর জানায়, তাদের পক্ষে আর এগোনো সম্ভব নয়। কারণ ওই এলাকায় পানি জমে রয়েছে।

পাকিস্তানের এই মনোভাবের ফলে সূর্যাস্তের আগে নরেন্দ্রর দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করতে পারেনি বিএসএফ। কারণ ভারতীয় জওয়ানদের যে ফের নিশানা করা হবে না তার নিশ্চয়তা ছিল না।

সূর্যাস্তের পর জলাভূমিতে নেমে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে নরেন্দ্রর দেহ উদ্ধার করেন জওয়ানরা। দেখা যায়, তার দেহে তিনটি বুলেটের ক্ষত রয়েছে। সেই সঙ্গে তার মাথা কেটে নিয়েছে পাকবাহিনী। হরিয়ানার সোনীপতে কালা গ্রামের বাসিন্দা নরেন্দ্র ১৯৯০ সালে বিএসএফে যোগ দেন। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*