‘গায়েবি’ মামলা নিয়ে হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশ
![](https://www.praner71news.com/wp-content/uploads/2019/03/logo-71.png)
দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ‘গায়েবি’ মামলা তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারির পাশাপাশি রুল জারি করেন। অন্যদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।
আইনজীবীরা বলছেন, বিভক্ত আদেশ হওয়ায় বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২৩ সেপ্টেম্বর তিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোটে নিতাই রায় চৌধুরী ও বিএনপির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বাদী হয়ে এই রিট করেন।
রিট আবেদনে গত সেপ্টেম্বরে সারাদেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা প্রায় চার হাজার ‘গায়েবি’ (ফিকটিশাস) মামলার বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। কমিটিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
একই সাথে ‘গায়েবি’ মামলা দায়েরের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে রিটে।
রিট আবেদনে বলা হয়, ১ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানায় বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তিন হাজার ৭৩৬টি মামলা দায়ের করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার ১৩০ জনকে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে কয়েক হাজার।
এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের মামলা করে যেন হয়রানি করা না হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়।
সোমবার রিটের ওপর শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনের শুনানিতে হাইকোর্ট এ ধরনের মামলা করার ফলে পুলিশের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয় বলে মন্তব্য করে।
unb