প্রাণের ৭১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় সাংবাদিক কাজলের রিমান্ড

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম (ভার্চুয়াল আদালত) দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শুনানি শেষে তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এদিন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চুয়াল আদালতে কাজলকে হাজির দেখানো হয়। হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল মোল্লা। অপরদিকে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

হাজারীবাগ থানার আদালতে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশ্রফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গণ্যমান ব্যক্তি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ১০ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাজলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন আওয়ামী লীগের একজন সদস্য উসমিন আরা বেলি।

 

এর আগে ২৪ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালতে (ভার্চুয়াল আদালত) শেরেবাংলা নগর থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। ১০ মার্চ আলোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে জড়িয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর।

 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মানবজমিন পত্রিকার প্রতিবেদক আল-আমিন, ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারী শফিকুল ইসলাম কাজল, প্রিন্স ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফরহাদ খান, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মাদ মোসলেম, মিজানুর রহমান, মোর্শেদ আলম, কাকন আবু হানিফ, মো. রুবেল, আয়েশা আমান, মো. শামিম আক্তার, মো. সাত্তার মৃধা, মো. তৌফিক, মিলি হাসান, হাবিব আদনান, ঋষি কান্ত, মো. সোহেল হোসেন, ছালে আহমেদ, জসিম উদ্দিন জসিম, খাইরুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম, মাহফুজ আহমেদ, এম এ মামুন, মো. হেলাল, সেলিম চৌধুরী, ইস্পাত মোহাম্মাদ, বেলায়েত হোসেন, মারুফ রাজু ও মকটেল হোসেন মুক্তি।

 

উল্লেখ্য,গত ২ মে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর শনিবার গভীর রাতে যশোরের বেনাপোলের সাদীপুর সীমান্তের একটি মাঠ থেকে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধার করা হয়।পরের দিন বিজিবির দায়ের করা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা ও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে যশোরের আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে যশোরের শার্শা আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠান।বর্তমানে তিনি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*