প্রাণের ৭১

দেশে করোনায় প্রাণ গেলো আরও ৪৩ নতুন শনাক্ত ৩৮০৯ সুস্থ ১৪০৯

মোহাম্মদ হাসানঃ বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন থাকতে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্ববাসী অপেক্ষায় আছে কবে নাগাদ এ প্রতিষেধক তৈরির সুখবর দিবে বিজ্ঞানীরা সেই আশায়।

গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৯ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন।
এখন দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৮৭। এ পর্যন্ত দেশে করোনার ভয়াল থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৭৩৮। সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন।

আজ ২৮ জুন রবিবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের মতো অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা।

ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ৬৮ টি পরীক্ষাগারের মধ্যে ৬৫ টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ হাজার ৩৪ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৯৯ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৭ লাখ ৩০ হাজার ১৯৭ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৮০৯ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৩ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৭৩৮ জনের পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৪০৯ জন মোট ৫৫ হাজার ৭২৭ জন।

বুলেটিনে ডা. নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১.০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০.৪৪ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। আজ মৃতদের লিঙ্গ বিভাজনে পুরুষ ৩১ নারী ১৪ জন।

এদিকে শনিবার রাতেই সারা বিশ্বে সংক্রমণ এক কোটি ছাড়াল। মৃত্যুও প্রায় ৫ লক্ষ ছুঁয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের করোনা-প্রতিরোধ দলের প্রধান অ্যান্টনি ফাউচি আবারও বললেন, ‘‘বড়সড় বিপদে রয়েছে দেশ।’’ গত শুক্রবার এক দিনে ৪০ হাজার সংক্রমিত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যাও ঊর্ধ্বগামী। দুই মাস পরে কাল বসেছিল হোয়াইট হাউস টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠক। সেখানেই ফাউচি বলেন, ‘‘একমাত্র পথ— আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে একে শেষ করতে হবে।’’

করোনা-সংক্রমণ বিষয়ক সমন্বয়কারী দলের অন্যতম ডেবরা ব্রিক্স বলেন, ‘‘এত দিন আমরা সবাইকে ঘরে থাকতে বলছিলাম, এ বার বলছি সবাই পরীক্ষা করান।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এতে যাদের কোনও উপসর্গ নেই, কিংবা রোগের সামান্য লক্ষণ দেখা দিয়েছে, তাঁরাও চিহ্নিত হয়ে যাবেন।’’ ব্রিক্সের পরে ফাউচিও বলেন, ‘‘আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, বড়সড় সমস্যার মধ্যে আমরা রয়েছি। দেশের একটা অংশ এখন যে ভাবে ভুগছে, অন্য এলাকাগুলোতেও এর পরে তাই দেখা যাবে।’’

অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছেন, শীঘ্রই ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকা প্রকাশ করবে তারা। এই সব দেশের বাসিন্দাদের ইউরোপে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহ থেকেই। এই তালিকায় আমেরিকার নাম যে থাকবে না, তা এক প্রকার নিশ্চিত। ব্রাজিল, ভারত বা রাশিয়ার নামও এই তালিকায় থাকবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*