অনলাইন এক্টিভিস্ট আতিউর রহমান খানের স্মৃতিতে
‘দুই কোরিয়া একত্রিকরণ প্রসঙ্গ’
আতিউর রহমান খানঃ শুকুর আল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ।।বিরানব্বই-এর শেষের দিকে এক কোরিয়ান নাগরিককে জিগ্যেস করেছিলাম, ‘তোমরা দুই কোরিয়া একত্র হচ্ছ কবে’?
তার বছর দুই আগে পূর্ব-পশ্চিম দুই জার্মান এক হয়েছে। দুই কোরিয়াও একত্র হওয়ার গুঞ্জন চলছিলো। ভেবেছিলাম, এটা একটা ভালো লক্ষণ। জার্মানীরা যখন ভেদাভেদ ভুলে মিলে গেছে। কোরিয়ানরাও মিলে যাবে।
দক্ষিণে ‘আবাদ’ করে যুক্তরাষ্ট্র। ছুতা-নাতায় সুযোগ পেলেই উত্তরকে ধমকি ধামকি দেয় (যা এখনও অব্যাহত আছে)। সেকারণেই হয়তো এদের বোধোদয় হয়েছে। ‘চল আমরা ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে যাই। কাউকে উড়ে এসে জুড়ে বসতে দেবো না আমাদের ঘারে’। কিন্তু না, ওটা ছিলো গুজবমাত্র।
কোরিয়ান ভদ্রলোক আমার কথা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলো। বললাম, আজই তো তোমাদের দেশের পত্রিকায় দিয়েছে, এই যে দেখো। বলে, ‘আমাদের কি পাগলে পেয়েছে? আর কয়দিন পর আমরা জাপানকে টেক্কা দেবো। যা শুনছো তা কোনোদিনও হবে না’।
গত পরশু দুই দেশের সীমান্তে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে দুই রাষ্ট্র প্রধানের সম্মিলিত ঘোষণায় একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। শোনা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্নে চীন রাশিয়া ইতোমধ্যেই এক কাতারে। ধরেই নেয়া যায়, ‘রাশিয়া আছে যেখানে, ভারত থাকবে সেখানে’। জাপান আগাগোড়াই যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী শিবিরে।
এখন দুই কোরিয়ার নেতারা যদি নেতৃত্বের লোভ না করে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারে, তবেই বিশ্বমঞ্চে মহা ডামাডোলে মঞ্চস্থ হতে পারবে; ‘পালাবি কোথায়’!।