যোগীর উপর ক্ষুব্ধ রামদেব বাতিল করল ৬০০০কোটির প্রকল্প
নয়াদিল্লি: এ যেন একেবারে নারদ নারদ লেগে গিয়েছে৷ বাবা রামদেবের পতঞ্জলির সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার৷ যে ভাবে পরিস্থিতি এগোচ্ছে তাতে যোগীর রাজ্যে এবার বাতিল হতে চলেছে খোদ রামদেবের পতঞ্জলির প্রকল্প৷ কারণ যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে বাবা রামদেবের পতঞ্জলির ৬০০০কোটি টাকার মেগা ফুড প্রসেসিং প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ঠিক মতো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না৷
এদিকে চূড়ান্ত অনুমতি পেতে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার পতঞ্জলিকে আরও এক মাস সময় দিয়েছে বলে জানিয়েছে ৷ যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অথোরিটি এখনও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি পত্র না পাওয়ায় জমি দেওয়া থমকে গিয়েছে বলে এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন৷ হরিদ্বারকে ভিত্তি করা এই সংস্থা ৬০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে যমুনা এক্সপ্রেস ওয়েতে ৪২৫ একর জমির উপর কারখানা গড়ার প্রস্তাব দেয় যা থেকে দেশিও এবং বিদেশি বাজারে রফতানি করবে পতঞ্জলি ফুড অ্যান্ড হার্বাল পার্ক৷
এদিকে বিষয়টি নিয়ে পতঞ্জলির আয়ুর্বেদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, তারা এই প্রকল্প বাতিল করছে যেহেতু উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পায়নি৷ তাদের সংস্থা এবার অন্য কোনও রাজ্যে ওই প্রকল্প সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছে৷ কেন অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার কারণ হিসেবে তিনি জানান, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না এই প্রকল্পের জন্য ৷ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স পেতে বহু দিন ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷ ফলে এই প্রকল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে চান৷ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রক পতঞ্জলিকে আরও এক মাস সময় দিয়েছে প্রয়োজনীয় ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য যা জুনে শেষ হবে৷
এদিকে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ সচিব জেপি মীনা সংবাদস্থাকে জানিয়েছে , চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার জন্য শর্ত পূরণ করতে পতঞ্জলিকে চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে৷ চার-পাঁচটি শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে জমি ও ব্যাংক ঋণের মতো শর্ত যা কোনও সংস্থা মেগা ফুড পার্ক করতে গেলেই পূরণ করতে হয়ে থাকে ৷ পাশাপাশি মীনার বক্তব্য, আমাদের দিক থেকে এই প্রকল্প বাতিল করা হয়নি বরং এক মাস আরও সময় দেওয়া হয়েছে পতঞ্জলিকে শর্ত পূরণের জন্য৷ এরপরেও যদি শর্ত পূরণ না হয় তখন তো আর কোনও উপায় নেই প্রকল্প বাতিল হবেই৷
পতঞ্জলি ইতিমধ্যেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে বলে দাবি করেছেন বালকৃষ্ণ৷ তিনি জানান, দুবার খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণমন্ত্রকের কাছ থেকে সময়সীমা বাড়ানোর অনুমতি পাওয়া গিয়েছে এবং এবার এটার সময়সীমা পেরিয়ে যাবে যদি রাজ্য সরকারে কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া না যায়৷
৩০ মাসের মধ্যে মেগা ফুড পার্ক কার্যকরী হবে এবং আর্থিক সহায়তা কেন্দ্রীয় সরকার দেবে৷ এর আগে পতঞ্জলি জানিয়েছিল যমুনা এক্সপ্রেস ওয়েতে যে কারখানা গড়া হচ্ছে তাতে পুরো দমে কাজ চললে প্রতি বছর ২৫,০০০ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন হবে৷ এখান থেকে প্রত্যক্ষ ১০,০০০ কর্মসংস্থান হবে৷ পতঞ্জলি মেগা ফুড পার্ক প্রকল্পে লগ্নি রয়েছে নাগপুর এবং তেজপুরে৷
kalkata24/7