১৮ নভেম্বর জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আশুলিয়া থানায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
শনিবার মামলার এজাহার আদালতে আসলে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খানম তা গ্রহণ করে আশুলিয়া থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওই দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে হাসান ইমাম নামের একজন ভুক্তভোগী জমির মালিক আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আশুলিয়া থানার পাথালিয়া মৌজায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের একটি জমি দীর্ঘদিন ধরে দখলের চেষ্টা করছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ক্যানসার হাসপাতাল করার নামে ওই জমির মালিককে নামমাত্র মূল্যে জমিটি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের নামে লিখে দেয়ার জন্য নানা রকমের চাপ দেয়া হয়। জমি লিখে না দিতে চাইলে জামির মালিককে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের নামে এক কোটি টাকা দান করার জন্যও জোর করা হয়।
মামলায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর একই ধরনের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়। ওই মামলাটি আরেক ভুক্তভোগী জমির মালিক মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে দায়ের করেন। ওই মামলায় ১৪ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।
জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে মানববন্ধন : এদিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আশুলিয়ায় মানববন্ধন করেছেন জমির মালিক ও এলাকাবাসী। শনিবার বিকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিশমাইল মির্জানগর এলাকায় এ মানববন্ধন করেন এলাকার জমির মালিকরা। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ আলী।
এ সময় নলাম এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণবিশ্ববিদ্যালয় করতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যাদের জমি না কিনে দখল করেছেন সেসব জমির মালিক ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। নলাম এলাকাবাসীর সঙ্গে মানববন্ধনে অংশ নেন মো. আনিচুর রহমান, মো. রবিউল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, মো. নাসির উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
জমির মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার ৪ দশমিক ২৪ একর জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে তিনি বিভিন্ন সময় হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করেন। ১৪ অক্টোবর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে তারই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সহযোগীরা মিলে ওই জমির বেষ্টনী, সাইনবোর্ড, লোহার গেট ভাংচুর ও লুটপাট করে। ১৫ অক্টোবর এ অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ।
মানববন্ধন থেকে ভুক্তভোগীরা ডা. জাফরুল্লাহর বিচার দাবি করে বলেন, ‘তার দখল থেকে জমি ফেরত চাই। যদি ডা. জাফরুল্লাহ দখল করা জমির বৈধ কাগজ দেখাতে পারেন তবে আমরা জমি দাবি করব না।’ এলাকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গণস্বাস্থ্যের পিএইচএ ভবনের গেট ও তার জমি অবৈধ দখল করে তৈরি করা হয়েছে। আমরা জমি ফেরত চাই।’