প্রাণের ৭১

Sakib Mohammad

 

হিন্দুজাতি গঠনে রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও বিবেকানন্দের ভিত্তি।

এসএমঃ ১ রামমোহন রায় কলকাতায় আগস্ট ২০, ১৮২৮ সালে ইংল্যান্ড যাত্রার আগে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে এই ব্রাহ্মসমাজ এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসাবে কাজ করে। সতীদাহ ও রামমোহন রায় সম্পাদনা বেদান্ত-উপনিষদগুলি বের করবার সময়ই তিনি সতীদাহ অশাস্ত্রীয় এবং নীতিবিগর্হিত প্রমাণ করে পুস্তিকা লিখলেন ‘প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ’। প্রতিবাদে পুস্তিকা বের হল ‘বিধায়ক নিষেধকের সম্বাদ’। তার প্রতিবাদে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুস্তিকা বের হয়। ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীতে সতিদাহ প্রথাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয় বা আইন করে সহমরণ-রীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এসময় বেঙ্গলের গভর্নর ছিলেন লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক। অবশ্যআরো পড়ুন


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও জনগণের বিরুদ্ধে অনন্ত ‘যুদ্ধ’

সাকিবঃ সারা দুনিয়া যেখানে করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে, করোনার বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করছে, সেখানে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকার যেন তার জনগণের বিরুদ্ধেই অঘোষিত এক ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে। দুই উপায়ে এই ‘যুদ্ধের’ বাস্তবতা উৎপাদন করা হচ্ছে। একদিকে, নজিরবিহীন বিপদজনক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পদ্ধতিগত সিদ্ধান্তহীনতার মাধ্যমে জনগণের একটা বড়ো অংশের জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে যারা এমনতর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন এবং ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিচ্ছেন রাষ্ট্র বিভিন্ন আইনী মারপ্যাঁচের মাধ্যমে তাদের নাগরিক অধিকার হরণ করা শুরু করেছে। তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া-দীর্ঘদিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর গ্রেফতার দেখানো-মামলা দায়ের করা সহ নানাবিধ হয়রানিআরো পড়ুন


কল্পনা চাকমা অপহরণ ও রাষ্ট্রের বিচারহীনতার সংস্কৃতি!

সাকিবঃ (১) কল্পনা চাকমা ছিলেন আদিবাসী নারী অধিকার কর্মী এবং পার্বত্য হিল উইমেন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক। সর্বোপরি কল্পনা চাকমা পাহাড়ি জুম্ম আদিবাসীদের মাঝে একটি আদর্শের নাম। পার্বত্য জনপদে অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক। দীর্ঘ দুই যুগ হতে চললো ১৯৯৬ সালে ১১ জুন জাতীয় নির্বাচনের ঠিক দিবাগত রাতে নিউ লাল্যেঘোনা, উগলছড়ি, থানা-বাঘাইছড়ি, জেলা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার নিজ বাড়ী হতে কল্পনা চাকমা(১৬) কে বড় দুই ভাইয়ের উপস্থিতিতে অপহরণ করা হয়। ঘটনার পর পরই তার বড় ভাই কালেন্দী কুমার চাকমা এলাকার চেয়ারম্যান, টিএনওসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণকে অপহরণের বিষয়টি অবহিত করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত একটিআরো পড়ুন


ভারতকে চাপে রেখে ক্ষমতা দেখাচ্ছে চীন

সাকিবঃ শুধু করোনাভাইরাসই যে একমাত্র হুমকি হয়ে এ বছর ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়েছে, তা নয়। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির হিমালয়সংলগ্ন বিতর্কিত লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) এলাকায় ভারতীয় জমিতে চীনের সেনারা ঢুকে পড়েছে। তারা এলএসিতে ‘উল্লেখযোগ্যসংখ্যক’ সেনা মোতায়েন করেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ও সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত এই সীমান্ত এলাকার চারটি পয়েন্টে বহুদিন ধরেই চীন হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এই পয়েন্টগুলো সিকিম ও কাশ্মীর উপত্যকার উত্তর–পূর্ব অঞ্চলের লাদাখ এলাকায়। কোনো সরকারই এ কথা অস্বীকার করেনি যে ভারত তাঁর নিজ ভূখণ্ড বলে যে সীমানাকে দাবি করে থাকে, সেইআরো পড়ুন


সাম্প্রদায়িক যৌনবাদী

সাকিবঃ বাঙলাদেশের মানুষজনেরা আমেরিকা ও ইউরোপের বর্ণবাদ নিয়ে যতটা সচেতন, ততোটা নিজ ভূখণ্ডের বর্ণবাদ নিয়ে সোচ্চার হলে আমেরিকা ও ইউরোপের গালে শুধু চপেটাঘাত দেওয়াই যেতো না বরং একটি ক্ষেত্রে তারা ইউরোপ ও আমেরিকার থেকেই উৎকৃষ্ট- তা স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখতো। কিন্তু নিজেদের সাদা চামড়ার প্রতি দুর্বলতা ও মোহ, অন্ধের মত সাদাদের শ্রেষ্ঠ মনে করা, আবার; সংকীর্ণমনাদের কাছে সাদা মানেই ষড়যন্ত্রকারী বোধ করা, ওজন, উচ্চতা, শারীরিক গঠন নিয়ে কুৎসিত মনোভাবের পরিচয় দেওয়া, ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের চাইনিজ, জাপানিজ, নাক বোঁচা, দুধ নাই, বাইট্টা, কালা, মোটকা, চালের বস্তা, বিশ্রী ইত্যাদি নিকৃষ্টআরো পড়ুন


বাংলাদেশের সর্বাঙ্গে দুর্নীতি সর্বাঙ্গে মৌলবাদ !

সাকিবঃ দেশের সমস্ত রাজনীতিবিদদের যেন লুটপাটের নেশায় পেয়ে বসেছে। রাজনীতি তাদের কাছে একটি ব্যাবসা হয়ে দাড়ীয়েছে। জনসেবার বদলে তারা এখন রাজনীতি নামক ব্যাবসা খুলে বসেছে। সমস্ত বিশ্বের মানুষ ও নেতারা যখন কোভীড ১৯ নিয়ন্ত্রনে হিমসিম তখন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও তাদের অনুসারিরা লুটপাটে ডুবে আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ৪ টি ওয়েবসাইট বানাতে ১০ কোটি টাকা। বালিশের দাম লাখ টাকা। ভবনে রডের বদলে বাশের ব্যাবহার। এ যেন এক পাগলাগারদে পরিনত হয়েছে। মজার বিষয় বাংলাদেশের জনগন এইসব নিয়ে একবারে নিরব। তাদের চিন্তা শুধু ধর্ম গেল বলে। আর এই সুযোগে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের চরিত্র বদলেআরো পড়ুন


করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ: গণফোরাম

গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেছেন, সরকারের অব্যস্থাপনার ফলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং সরকার এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁরা সরকারকে যথাসম্ভব পদক্ষেপ নিতেও আহ্বান জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার গণফোরাম থেকে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এই দুই নেতা এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে মার্চের ১১ তারিখেই করোনা পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে, সেখানে সরকার অনেক বিলম্ব করে মার্চের শেষ সপ্তাহে এসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। তাঁদের অভিযোগ, জাতীয় কৌশলআরো পড়ুন


বাজেট অধিবেশনে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকবে না

এবারের বাজেট অধিবেশনে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বাজেট অধিবেশনে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকবে না এবারের বাজেট অধিবেশনে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ১১ জুন বেলা সাড়ে তিনটায় জাতীয় সংসদে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপিত হবে। আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ,ক‌রোনার কার‌ণে উদ্ভূত প‌রি‌স্থি‌তি‌তে এবারের বাজেট অধিবেশনে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। সংসদ ভবনের বাইরে পশ্চিম দিকে মিডিয়া সেন্টার থেকে ওই দিন বেলা সোয়া তিনটা থেকে বাজেট ডকুমেন্টস বিতরণ করা হবে।আরো পড়ুন


বাংলার দুর্নীতিবাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রিরা

বাংলাদেশের সবাস্থ মন্ত্রানালয় অত্যান্ত দুর্নীতিবন্‌ধব একটি প্রতিষ্ঠান।। ২০০১ থেকে বর্তমান পর্যন্ত এ মন্ত্রানালয়ে প্রতি বছর রাষ্ট্র ব্যয় করছে ৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা । কিন্তু এই মন্ত্রানালয়ের অধিনস্ত প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন দেখলে মনে হবে যে প্রতি বছর বরাদ্ধের পরিমান ছিল ১০০ কোটি টাঁকা।। এ মন্ত্রনালয়ে ২০০১ থেকে দায়িত্ব ছিলেন যথাক্রমে ডাঃ খন্দকার মোশারফ, আ ফ ম রুহুল হক, মোঃ নাসিম ও বর্তমান মন্ত্রী জায়েদ মালিক।। এদের মধ্যে দুর্নীতির মামলা নিয়ে সাজা পেয়েছেন বিএনপি আমলের সবাস্থমন্ত্রি ডাঃ খন্দকার মোশারফ হোসেন।। অন্যদিকে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করা সাবেকআরো পড়ুন


সরকারি ব্যার্থতা বাড়ছে করোনায় মৃত্যু

 সাকিবঃ বাংলাদেশ সরকার অনেক সময় পাওয়ার পরও করোনা সক্রমন ব্যাবস্থাপনায় প্রথম থেকেই ব্যার্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর দায়িত্বহীন মন্তব্য আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালি। ওপরমহল থেকে এমন মন্তব্যের ফলে মানুষ করোনা ভাইরাস কে গুরুত্বপূর্ণভাবে নেয়নি। অন্যদিকে ওয়াজ মাহফীলের নামে এক শ্রেনীর ধর্ম প্রচারকরা বলে বেড়িয়েছে করোনা এসেছে নাস্তিক ইহুদিদের জন্য মুসলিমদের এতে কিছু হবে না। ফলশ্রতুতে গ্রাম গঞ্জে মানুষ করোনার ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন না হয়ে বরঙ স্বাভাবিক জীবন জাপন অব্যাহত রেখেছিল। অত্যন্ত দঃখের বিষয় গ্রাম গঞ্জে এইসব হুজুরেরা এখনো এই ধরনের ভুল তথ্য মানুষদের দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে প্রশাসনআরো পড়ুন