প্রাণের ৭১

স্বাস্থ্যখাতের এতো চাক্ষুষ দুর্নীতির প্রমাণের পরও হয় না কোনো বিচার-সামিয়া রহমান

সামিয়া রহমান

 

মৃত্যুও আজ শুধু সংখ্যাই বটে। লকডাউনও আর হবে না। কারফিউও হবে না। আক্রান্ত হবে প্রায় প্রত্যেকে। হয়তো আর ২০/৩০ দিনের মধ্যে লাখের ঘরও পার করবো আমরা। অনেকেই আবারো প্রশ্ন তুলতে পারেন, কোথায় পেলাম এই ডেটা। আমিতো ডাক্তার নই, ভাইরোলজিস্টও নই, বিশেষজ্ঞও নই। কিন্তু মে মাসের ৪ তারিখেও বলেছিলাম প্রতি সপ্তাহে আমরা ১০ হাজার অতিক্রম করবো। তাইতে অনেকের কী রাগ!

জুনের ৫ তারিখ। আমরা কিন্তু ৬০ হাজার পার করে ফেলেছি! শুধু অস্বীকার, জেদ, অহংকার, গোড়ামী করে আমার নিজেদের ধ্বংস করলাম। কারণ অর্থনীতি সচল রাখা জরুরি। আবার আমরা শুধু গার্মেন্টস কর্মীদের কথাই বলি। কিন্তু জানেন কি, এই বাংলাদেশে প্রচুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে যাদের বিভিন্ন ব্র্যাঞ্চে অজ¯্র কর্মী কাজ করে। তিন মাস ধরে তাদের কোনোই বেতনই দেয় না কর্তৃপক্ষ। অথচ মালিক বা মালকিনরা প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা আয় করতেন তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। ইচ্ছে করেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম নিলাম না সম্পর্কের খাতিরে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যে অর্থনীতির কথা বলে সবাইকে রাস্তায় নামানো হলো, সেই অর্থনীতি কোনো কাজে আসছে এখন। আর কতো মানুষ আক্রান্ত হলে টনক নড়বে কারও।

স্বাস্থ্যখাতের এতো চাক্ষুষ দুর্নীতির প্রমাণের পরও হয় না কোনো বিচার। উল্টো পত্রিকায় খবর হয় দাম বাড়িয়ে জিনিষ ক্রয়ের। এই দুঃসময়েও। কোভিড-১৯ এর সঙ্গে বসবাসের আদৌ কি প্রয়োজন ছিলো? শুধু একটু যদি মানবিক বুদ্ধিটা আল্লাহ আমাদের দিতেন। করোনা প্রকৃতি প্রদত্ত অস্বীকার করছি না। কিন্তু আজ এই দুরবস্থার দায় সম্পূর্ণ আমাদের নীতিনির্ধারকদের। তারা কি ইহজীবনে শুধরাবেন বা কোনোদিনই মাথা পেতে দায় নেবেন? নাকি সব ষড়যন্ত্র বলে আবারো হাত উল্টাবেন! প্লিজ সমালোচনা হিসেবে নেবেন না। মনে করবেন নিজের মনে পাগলের প্রলাপ বকছি। পাগল হতে আর বাকি কোথায়।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*