প্রাণের ৭১

৭ দফা মেনে নিন’

সরকারের উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সময় থাকতে ৭ দফা মেনে নিন। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে অসম্ভবকে সম্ভব করে। কীভাবে ক্ষমতায় আছেন তার জবাবদিহি করতে হবে। কারণ, জনগণ সংবিধানের মালিক।

আজ শনিবার চট্টগ্রামে কাজীর দেউরি এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নূর আহমেদ সড়কের সামনে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পেয়েছে। যে কারণে কাউকে সমাবেশ করতে দেয় না।

প্রশাসনের প্রতি অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজকের এই সমাবেশ লালদিঘীর ময়দানে হবার কথা ছিল।

প্রশাসন সরকারকে সমর্থন করেছে। আমাদের সমাবেশে পদে পদে বাধা দেয়া হয়েছে। তারপরেও জন¯্রােত হয়ে গেছে পুরো এলাকা।

তিনি আরো বলেন, মামলা অনেকে হয়েছে, ভৌতিক মামলা অনেক দিয়েছে। কিন্তু সাত দফা দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না।
তিনি বলেন, সরকার নিজেরা নাশকতা-সহিংসতা করে। তারপর বিরোধীদলের ওপর দোষ দেয়। আমরা অন্যায়ের কাছে মাথানত করব না। আমরা ৭ দফা দাবি আদায় করে তবেই ফিরব।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার সবসময় বলার চেষ্টা করছে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, তোমাদের অধীনে নির্বাচন হবে না। মান্না বলেন, ‘গদি ছাড়তে হবে, ভোট দেয়ার অধিকার দিতে হবে। আর যদি তা না হয়, তবে কীভাবে গদি থেকে নামাতে হয় তা জানি।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নয়। এটা তাজউদ্দীনের আওয়ামী লীগ নয়। এটা লুটপাটের আওয়ামী লীগ। আমরা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করি। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য করেছি। এ ঐক্য ক্ষমতার ঐক্য নয়, জনতার ঐক্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি উন্নয়ন করে থাকে তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় পাচ্ছে কেন? উন্নয়ন হয়ে থাকলে মানুষকে এত ভয় কেন! তাহলে বুঝতে হবে, ডাল ম্যা কুচ কালা হ্যায়।’
জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই এ সরকারের পতন চাই। আমাদের ঐক্য আছে, ঐক্য থাকবে। ধীরে ধীরে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ছাড়া সবাই এই ঐক্যে শামিল হবেন।’

এর আগে বেলা ১২টা থেকে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এতে মঞ্চের একপাশের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আরেকপাশের রাস্তা বন্ধ না থাকলেও যানবাহন চলাচল করছে না।
আনুষ্ঠানিকভাবে বিকাল তিনটার দিকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ২টা থেকে ঐক্যফ্রন্টের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। এরপর মঞ্চে একে একে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা উপস্থিত হন।

দুপুর আড়াইটার দিকে মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধান অতিথি গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এরপর আসেন সমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদূদ আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সহ ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতারা।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*