প্রাণের ৭১

৯৭ লাখ টন গম রফতানি করবে ফ্রান্স

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর বাইরের বাজারেও ফরাসি গমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষিপণ্যটির রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স সরকার। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৮-১৯ মৌসুম শেষে ফ্রান্স থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোর বাইরের বাজারে সব মিলিয়ে ৯৭ লাখ টন গম রফতানি হতে পারে। ফরাসি ফার্মিং এজেন্সি ফ্রান্সএগ্রিমেরের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম।

 

গম উৎপাদনকারীদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান বিশ্বে প্রথম। এর মধ্যে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হয়। ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে গম রফতানিতেও ফ্রান্স শীর্ষে রয়েছে। ফ্রান্সএগ্রিমেরের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ মৌসুম শেষে ফ্রান্স থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোর বাইরের বাজারে সব মিলিয়ে ৯৭ লাখ টন গম রফতানি হতে পারে। ২০১৭-১৮ মৌসুম দেশটি থেকে ইইউর বাইরের বাজারে মোট ৯৫ লাখ টন গম রফতানি হয়েছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ফ্রান্স থেকে ইইউর বাইরের বাজারে গম রফতানি বাড়তে পারে দুই লাখ টন।

 

প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ মৌসুম শেষে ফ্রান্সে গমের সমাপনী মজুদ ২৪ লাখ টনে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির সমাপনী মজুদ আগের মৌসুমের মতো এবারো পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে অবস্থান করতে পারে।

 

তবে গমের মজুদ অপরিবর্তিত থাকলেও ২০১৮-১৯ মৌসুম শেষে ফ্রান্সে ভুট্টার মজুদ আগের তুলনায় বাড়তে পারে। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ মৌসুম শেষে ফ্রান্সে ভুট্টার সমাপনী মজুদ দাঁড়াতে পারে ২৬ লাখ টনে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় দুই লাখ টন বেশি। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির সমাপনী মজুদ চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

 

একইভাবে ২০১৮-১৯ মৌসুম শেষে ফ্রান্সে যবের সমাপনী মজুদ কমে দাঁড়াতে পারে ১৭ লাখ টনে। আগের মৌসুমে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির সমাপনী মজুদ ছিল ১৮ লাখ টন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*