প্রাণের ৭১

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা দেশের যে উন্নয়নটা করতে পেরেছি; গণতান্ত্রিক ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে উন্নয়নও অব্যাহত থাকবে।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাথে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংলাপে বসেন।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন-সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও আলমগীর হোসেন দুলাল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য মোমিনুর রহমান বিশাল, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রনজিৎ কুমার।

সংলাপে বাম গণতান্ত্রিক জোট নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, তফসিলের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া ও নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরতে পারে।

সংলাপের শুরুতে শেখ হাসিনা সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনাই ছিল লক্ষ্য। সবচেয়ে বড় কথা ছিল দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি।’

তিনি বলেন, ‘একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে ঠিক একই কায়দায় ২০০১ সালে নির্বাচনের পর অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, এক এগারো সরকার তাকে ইলেকশন না করার প্রস্তাব দিয়েছিল। বিনিময়ে একটি মর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব দেয় তারা। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন হবে, জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় আসবে।

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা যেখানে বাংলাদেশ দেখে এসেছিলাম সেখান থেকে বাংলাদেশ আবার পিছিয়ে যায়। ২০০৮ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন বিশ্বমন্দার মধ্যে দিয়ে আমরা এগিয়ে যাই।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০০৯ থেকে ১৮ পর্যন্ত আপনারা যদি বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রটা দেখেন তাহলে নিশ্চয়ই এটা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে আমরা উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার মতো কঠিন কাজটা এই সময়ের মধ্যে আমরা করতে পেরেছি। জনগণের সমর্থন ছিল বলেই যুদ্ধাপরাধের বিচার করার পাশাপাশি রায়ও কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।’






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*