প্রাণের ৭১

জাতির পিতার খুনি মাজেদ গ্রেফতার

বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

সোববার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আবদুল মাজেদ বিদেশে পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশও জারি ছিলো।

 

 

 

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু আদালতে না তোলা পর্যন্ত আমি নিশ্চিত হতে পারছি না।’

 

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত খুনি মাজেদকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগার পাঠানো হবে।

 

এদিকে পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) মিরপুর সাড়ে এগারো এলাকা থেকে সোমবার ভোর রাতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে (অব.) গ্রেফতার করে। ইতোমধ্যেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে সামরিক বাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য। খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দিতে জারি করা হয় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে খুনিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার পথ উন্মুক্ত করে। বিচার শেষে ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১২ জন আসামির মধ্যে পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর করা হয়।

 

অন্য ছয় খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়ায়। তারা হলেন— লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান।

 

গ্রেফতার ও প্রত্যার্পণ ঠেকাতে আসামিরা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, পাকিস্তান, লিবিয়া ও আফ্রিকাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বারবার অবস্থান বদল করছেন। পরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় পলাতক থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশও জারি করা হয়।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*