প্রাণের ৭১

শেখ হাসিনার কওমী জননী ডাকে সাড়া,দেশবিরুধী অশুভশক্তির ভিত্তিমূলে শেষ পেরেক।।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশাল উলামা মাশায়েখ সমাবেশে অনুষ্ঠিত “শোকরানা ও দোয়া মাহফিলে” স্বশ্রদ্ধচিত্তে তাঁদের অন্তরে’র উৎসারীত ডাক “কওমী জননী” ধর্মানূভূতির মহানূভবতায় গ্রহন করেছেন। সম্মানীত কওমী উলামা, মাশায়েখ বৃন্দের হৃদয় উৎসারীত এই ‘ডাক’ গ্রহন করে তিনি–তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, তাঁর পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ এবং তাঁর প্রানপ্রিয় জনগনের দ্বিমূখি কল্যান সাধন ছাড়াও “মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের অসীম, অনন্তকালের সুস্থ্য,গনতান্ত্রিক,কল্যানকর রাজনীতি প্রতিষ্ঠার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে সক্ষম হলেন”।
তাঁর সুদুরপ্রসারী চিন্তাচেতনায় এবং দুরদর্শি রাজনোতিক বিচক্ষনতায়- একদিকে যেমন তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলকে ইসলাম ধর্মের কল্যানকর রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। অন্যদিকে দেশবিরুধী ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াতে ইসলামী ও তাঁর সৃষ্ট ইসলাম ধর্ম বিরুধী ‘জঙ্গিবাদে’র বিরুদ্ধে চলমান বাংলাদেশের আপামর জনগনের সংগ্রামের প্রতি “দেশের সম্মানীত উলামা মাশায়েখদের অকুন্ঠ সমর্থন” আদায় করে নিতে পেরেছেন।
দেশ ও জাতীর সবচেয়ে বড় কল্যানকর যে কাজটি তিনি অদ্যকার স্বল্প সময়ের দোয়া মাহফিলে অকুন্টচিত্তে, নির্ভয়ে উপস্থিত হয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছেন, তা হল–দেশবিরুধী অশুভশক্তির প্রধান প্রেতাত্বা জামায়াতে ইসলামী’র রাজনীতি পূণঃ উত্থানের সম্ভাবনার বুকে পিঠে ‘লৌহকঠিন পাটাতন সাজিয়ে অষ্টধাতুর ঢালাইয়ের উপর ইস্পাত কঠিন পেরেক” ঢুকিয়ে অসীম, অনন্তকালের জন্যে তাঁদের সকল রাস্তা বন্ধ করে দিতে পেরেছেন।
যাহা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের আপামর জনগনের একান্ত কামনা,
বাসনা, চাওয়া পাওয়ার অন্যতম কাংক্ষিত দাবী’তে রুপান্তর হয়ে দীর্ঘ তিনযুগ বাংলাদেশের কদমাক্ত মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, ধর্মানূভূতি’র প্রশ্নাতীত আনুগত্যতা, অপরিসীম দেশপ্রেমের চেতনার বাহুবন্ধনে বাংলাদেশের জনগনের কাংক্ষিত মনোবাসনা তিনি পূরণ করতে সক্ষম হলেন।
অসংখ্য, অজস্র সালাম, অভিনন্দন মননীয় প্রধানমন্ত্রী জনককন্যা শেখ হাসিনা–‘আপনার এবং আপনার সরকারের প্রতি’। বহুকাল হতে দেশ বিরুধী ষড়যন্ত্রকারীগন আওয়ামী বিদ্বেসী মনোভাব সৃষ্টির উর্বর ভুমিতে পরিণত করেছিল দেশবরেন্য আলেম, উলামা, মাশায়েখদের চারণভুমি সমূহ। আপনার রাজনৈতিক বিচক্ষনতায় এতকালের রোপিত ফসল মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের গোলা ভর্তি করে দিতে পেরেছেন। আপনার জীবদ্বশায় যাহা একান্ত প্রয়োজন ছিল। আপনি আপনার সর্বশক্তি, মেধা, বিচক্ষনতা, সাহষ, ধৈয্যের পরকাষ্টার মালা সাজিয়ে সাধন করে গেলেন-রক্ষা করার দায়িত্ব আগামীর বাংলাদেশের আধুনিক প্রজম্মের।
মহান আল্লহ সর্বসময়ে আপনার প্রতি সদয় হোক

রউহুল আমিন মজুমদার, কলামিষ্ট






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*