প্রাণের ৭১

করোনা মোকাবেলায় ইসরাইলে সহায়তা পাঠাচ্ছে তুরস্ক

করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইলে কার্গোভর্তি চিকিৎসাসামগ্রী পাঠাতে অনুমোদন দিয়েছে তুরস্ক। এসব সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, ফেইস মাস্ক, সুরক্ষা পোশাক ও জীবাণুমুক্ত গ্লোভস।

দুই দেশের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক ভালো না গেলেও মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরাইলকে সহায়তা পাঠাচ্ছে তুরস্ক।

ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়, মানবিক কারণে ইসরাইলে চিকিৎসাসামগ্রী বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে তুর্কি সরকার। বিনিময়ে কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই তুর্কিশ সহায়তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাতে অনুমোদন দেবে ইসরাইল।

কর্মকর্তারা বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সহায়তা পাঠাবে তুরস্ক।

আংকারার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেন, এসব সহায়তা নিতে দক্ষিণাঞ্চলীয় ইনসিরলিক ঘাঁটিতে বৃহস্পতিবার তিনটি ইসরাইলি বিমান অবতরণ করবে।

তবে এ নিয়ে জানতে চাইলে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অবৈধ দেশটিতে এখন সরকারি ছুটি চলছে।

ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তুরস্ক। যদিও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের অধীন দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।

সামরিক, কৌশলগত ও কূটনৈতিক সহযোগিতায় বেশি জোর দিচ্ছে দুই দেশ।

২০০৪ সালে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠাতা থিওডর হারজলের স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয় এরদোগান সরকার। তবে দুই দেশই এখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ছে।

কিন্তু মহামারী চলাকালীন এই অপ্রত্যাশিত সংহতিতে এক সময়ের কৌশলগত দুই মিত্রের সম্পর্কোন্নতি ঘটবে বলে এখনই কোনো আশাবাদ করা যাচ্ছে না।

২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ক্ষমতায় আসার আগে মুসলিম বিশ্বে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল তুর্কি। দুদেশের সামরিক সম্পর্ক ছিল খুবই শক্তিশালী।

২০১০ সালে দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। তখন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সহায়তা নিয়ে যাওয়া তুরস্কের জাহাজের একটি বহরে অভিযান চালায় ইসরাইলি কমান্ডোরা। এতে ১০ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

জবাবে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে তুরস্ক। নিজেদের কূটনীতিককেও ফেরত নিয়ে আসে। তখন তুরস্কে ইসরাইলি সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিও স্থগিত করা হয়। যদিও অন্যান্য বাণিজ্য আগের মতোই চলছিল।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*