মাদকবিরোধী অভিযানে সন্দেহভাজন অপরাধীদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
মাদকবিরোধী অভিযানে সন্দেহভাজন অপরাধী হিসেবে প্রত্যেকের মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশনের প্রতিনিধিরা এক যুক্ত বিবৃতিতে সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছে।
ইউ’র হেড অব মিশন মিসেস ব্লেকেন প্রেরিত ওই বিবৃতিতে মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের ঘটনাকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযানে সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে ৪ মে পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ এটাও নিশ্চিত করেছে যে, সব ধরনের আইন প্রয়োগের কাজটি আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পন্ন করা হয়েছে, যাতে আন্তর্জাতিক মান ও নীতি অনুসৃত হয়েছে এবং এতে শক্তির ব্যবহারে যথাযথ আইনি নিরাপত্তা বিধান করা হয়েছে। তাই আমরা আশা করি, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজন অপরাধীদের মৃত্যুর ঘটনার সব ঘটনা পূর্ণ তদন্ত করবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, ইইউ প্রতিনিধিদলের রাষ্ট্রদূত রেসজি তিরিঙ্ক, ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা, জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. থমাস হেনরিখ প্রিনজ, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত লিওনি চুয়েলেন্যায়েরে, ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমনিতি উইনথার, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ডি আলভারো দো সালাস জিমেনেজ দো আঝারাতে, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলোতা স্কিলিটার এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিসেস ম্যারি-অ্যানিক বুরিডিন।