গ্রেফতারের ৫ দিন পর যুবলীগ নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
নড়াইলে সড়কের পাশ থেকে গ্রেফতারের ৫ দিন পর সড়কের পাশ থেকে তরিকুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবলীগ নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ৮টার দিকে নড়াইল-যশোর সড়কের শহর সংলগ্ন সীতারামপুর ব্রিজ এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, পাঁচদিন আগে তাকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। নিহত তরিকুল যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামের মিজানুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি জামদিয়া বাজারে সার ও কীটনাশকের ব্যবসা করতেন। নড়াইল সদর থানার এসআই মাসুদ রানা আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর ব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের দুলা ভাই মামুন শেখ জানান, গত শুক্রবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় জামদিয়া বাজারের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান থেকে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে যশোরে ডিবি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে। এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানায় জিডি করতে গেলেও পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি। ঘটনার ৫দিন পর তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেল। যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লিটন আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, নিহত তরিকুল বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তরিকুল একজন সাংগঠনিক ছেলে।
তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। মাদকের সাথেও তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে বিনা কারণে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি। বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মঞ্জুরুল আলম আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, তরিকুলের নামে বাঘারপাড়া থানায় কোনো মামলা নেই। তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে ব্যাপারেও তিনি কিছু জানেন বলে জানান। নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন আমাদের নড়াইল জেলা সাংবাদিকদের জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।