প্রাণের ৭১

সময়োপযোগি প্রযুক্তিতে আপডেটেড হতে হবে : স্পিকার

ঢাকা, ৮ জুন, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে সকলকে সময়োপযোগি প্রযুক্তিতে ‘আপডেটেড’ হতে হবে।

উদ্ভাবনী কৌশল আত্মস্থকরণের মাধ্যমে সকলকে দক্ষ হয়ে উঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে- তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিককে ‘স্মার্ট লিডার’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্মার্ট লিডারশিপ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট মোঃ শামসুল হক টুকু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

স্পিকার কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন এবং স্মার্ট উদ্যোক্তাদের মাঝে অনুদানের চেকও বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা সকলের কাছে নিয়ে আসেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২১ সালের অনেক আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা নির্মাণ ও বিশ্বায়নের  যুগে সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে বলেও স্পিকার উল্লেখ করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তি নানাভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। সমগ্র বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছ তথ্য-প্রযুক্তি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বিদ্যমান। তাই, আমাদের সকলকেই দক্ষ লিডার হিসেবে প্রযুক্তি আত্মস্থ করতে ও সময়োপযোগি প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ‘স্মার্ট লিডারশিপ’ তৈরির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ-‘স্মার্ট সিটিজেন’, ‘স্মার্ট ইকোনমি’, ‘স্মার্ট গভর্ণমেন্ট’ ও ‘স্মার্ট সোসাইটি’ গড়ে তোলা।

এছাড়াও স্মার্ট নাগরিকের অন্যতম স্তম্ভ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদকে ‘স্মার্ট পার্লামেন্ট’ হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে- তিনি বলেন,‘স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি’ থেকে সকলে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজস্ব দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে। সংসদ সদস্যদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে, যা প্রশংসনীয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অনুষঙ্গ হিসেবে এ কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট নাগরিক তৈরি বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব হবে না।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় স্মার্ট লিডারশিপ তৈরির যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তার প্রশংসা করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন। ডেপুটি স্পিকার এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রত্যেক সংসদ সদস্যসহ সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও মাহবুব আরা বেগম গিনি এবং অন্যান্য সংসদ সদস্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন, জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*